পিলখানাস্থ বিডিআর হেডকোয়ার্টার্সে সংঘটিত বিদ্রোহ এবং নৃশংস হত্যাকান্ড তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন

১৩ জুল, ২০১০ ·

অবিকৃত ৫০ পাতার প্রতিবেদন

সন্দেহভাজন তালিকা

3 মন্তব্য(গুলি):

বাংলাদেশী আইডল বলেছেন...
১৩ জুলাই, ২০১০ এ ১২:৩১ PM  

লেখার উপর ক্লিক করলে মিডিয়াফায়ারের ডাউনলোড লিংক পাওয়া যাবে (পিডিএফ ফাইল)

বাংলাদেশী আইডল বলেছেন...
১৩ জুলাই, ২০১০ এ ১২:৩৪ PM  

A summary from Amar Desh

অপ্রকাশিত ওই রিপোর্টে তদন্ত কমিটি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ২৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষাত্কারী ১৪ বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যের নামের তালিকা তদন্ত কমিটি জানতে পারেনি। কমিটি তাদের রিপোর্টে বলেছে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের প্রায় ২ মাস আগে থেকে বিদ্রোহের পরিকল্পনা চলে। পরিকল্পনার বিভিন্ন পর্যায়ে ষড়যন্ত্রকারীরা বেশ কিছু বৈঠক করে। আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপসের অফিস ও তার বাসভবন ‘স্কাই স্টার’-এর বৈঠকে উপস্থিত বিডিআর জওয়ানদের ক’জনের নামও উল্লেখ করা হয় তদন্ত প্রতিবেদনে। বিদ্রোহের কিছুদিন আগে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান এমপি শেখ সেলিমের সঙ্গে বিডিআর সদস্যদের বৈঠক ও তাদের দাবি-দাওয়াসংবলিত কপি হস্তান্তর এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করার জন্য বিডিআর জওয়ানরা সচেষ্ট ছিল বলে তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। তদন্ত কমিটি বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ ক্ষমা, অস্ত্র জমা দেয়া এবং আটককৃত শিশু ও মহিলাদের মুক্তি দেয়ার শর্ত ছাড়া আর কোনো শর্ত আরোপ করা হয়েছিল কিনা জানা যায়নি। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার সময় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের কাছে যে বিবৃতি পাঠ করেন তাতে বলা হয়েছিল, ‘বিডিআর প্রতিনিধিদলের সাথে আলোচনাক্রমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহী সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন এবং অস্ত্র জমা দিয়ে তাদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাছাড়া তিনি আটক শিশু ও মহিলাদের ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান।’ তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই বিবৃতিতে মহাপরিচালক বা অন্যান্য অফিসারের পরিণতি বা তাদের ছাড়ার ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি। ২০০৯ সালে পিলখানা ট্র্যাডেজির শিকার হয়ে বিডিআরের ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল, ডেপুটেশনে বিডিআরে কর্মরত ৫৭ চৌকস সেনা অফিসারসহ ৭৪ জন নৃশংসভাবে খুন হন। বাংলাদেশ তথা বিশ্বের ইতিহাসে এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনা দেশবাসীকে মর্মাহত, বেদনাহত করে। বিদ্রোহের দিন সকাল ১১টা নাগাদ বিদ্রোহীরা তাজা গোলাবারুদ লুট করে। তার আগে বিদ্রোহীদের হাতে তাজা গোলাবারুদ তেমন কিছুই ছিল না। বাইতুল ইজ্জত বিডিআর ট্রেনিং সেন্টারে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু ব্ল্যাঙ্ক কার্তুজ এর আগ পর্যন্ত বিদ্রোহীরা ব্যবহার করেছিল বলে তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, সকাল সাড়ে ৯টায় ঘটনার সূত্রপাতের সঙ্গে সঙ্গে পিলখানা বিদ্রোহের খবর সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে পৌঁছে যায়। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে র্যাবের প্রথম দল পিলখানা পৌঁছায়। সকাল সোয়া ১০টা নাগাদ র্যাব-এর একটি করে দল পিলখানার ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গেটে পৌঁছায়। এর ঘণ্টাখানেকের পর বেলা ১১টা নাগাদ সেনাবাহিনীর ৪৬ ব্রিগেডের একটি দল ধানমন্ডি মেডিনোভা ক্লিনিকের সামনে অবস্থান নেয়। ব্রিগেড কমান্ডার ট্যাঙ্ক ও এপিসি ছাড়া পিলখানার অভ্যন্তরে কোনো অভিযান চালানো সম্ভব নয় বলে মূল্যায়ন করলে সে অনুযায়ী ৭টি এপিসি ডিপো থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে ক্যান্টনমেন্টে প্রস্তুতি নিলেও ঘটনাস্থলে অভিযানের জন্য আনা হয়নি। ডিএমপি কমিশনার ৯টা ৫০ মিনিটে ঘটনার খবর পেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ফোর্স মোতায়েনের জন্য রমনা জোনের ডিসি এবং লালবাগ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। সকাল ১০টা নাগাদ আকাশে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার টহল শুরু করে। তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, জিম্মি অফিসার ও তাদের পরিবার-পরিজনদের উদ্ধারে কোনো উদ্ধার অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করা হয়নি। তারা আরও জানান, তাত্ক্ষণিক অভিযান পরিচালনা না করার কারণ এ জন্য কোনো নির্দেশ না পাওয়া।
বিদ্রোহের প্রথমদিন ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টায় পিলখানা ৩ নম্বর গেটে সামনে ‘জয় বাংলা-জয় বিডিআর, বিডিআর-জনতা ভাই ভাই’ বলে স্লোগান দিয়ে শতাধিক মানুষ মিছিল করে।

বাংলাদেশী আইডল বলেছেন...
১৩ জুলাই, ২০১০ এ ১২:৪৪ PM  

From pp.9-10, which was removed later... See More:

ক) নির্বাচনের পূর্বে বিডিআর এর বেশ কিছু সদস্য ব্যারিষ্টার তাপস (বর্তমানে সাংসদ) এর অফিসে যান। এদের মধ্যে উলে−খ্য, হাবিলদার মনির, সিপাহী তারেক, সিপাহী আইয়ুব, ল্যা: না: সহকারী সাইদুরসহ ২৫/২৬
জোয়ান ও জনৈক জাকির সেখানে উপস্থিত ছিল।
খ) নির্বাচনের ৩/৪দিন পর পরিকল্পনা সংশি−ষ্ট কয়েকজন বিডিআর সদস্য এমপি তাপসের বাসভবন “স্কাই ষ্টার” এ যায়। সেখানে তাঁকে দাবী পূরণের কথা বলা হলে তিনি রেশনের বিষয়টি ছাড়া অন্য কোন বিষয় বিবেচনায় আনা সম্ভব নয় বলে জানান।
গ) ফেব্র“য়ারী মাসের মাঝামাঝি সংসদ সদস্য জনাব শেখ সেলিমের বাসায় ২ জন ডিএডি এবং বেসামরিক জাকিরের নেতৃত্বে ১০/১২জন বিডিআর সদস্য সাক্ষাৎ করে। এমপি জনাব সেলিম জানান যে, এসব দাবী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়, তবে তিনি তার একটি লিখিত কপি চান।

এই ব্লগে..

বাংলাদেশ: মানুষ, প্রেম, স্বাধীনতা, রাজনীতি, দারিদ্রতা আর সম্ভাবনার দেশ। সে দেশের কিছু বিষয়...মনের গভীরে আকি-বুকি কাটা ঘটনা আর অবসরের হাবিজাবি নিয়ে আমার এই ব্লগ।

যেকোন বিষয় নিয়ে মেইল করতে পারেন: bdidol@জিমেইল.কম

সাম্প্রতিক পোষ্ট

সামহ্যোয়ার ব্লগ পোষ্ট